শিম বাংলাদেশের অন্যতম লতাজাতীয় শীতকালীন সবজি। দেশের সর্বত্র ব্যাপক আকারে এর চাষ হয়। শিম খেতে my¯^v`y , পুষ্টিকর, আমিষের উত্তম উৎস । শিমের পরিপক্ক বীজে প্রচুর আমিষ ও স্নেহ জাতীয পদার্থ আছে। সব শ্রেনীর লোকের কাছে শিম একটি জনপ্রিয় সবজি।
সীমের জাত
জাত
আমাদের দেশে অনেক স্থাণীয় জাত আছে। এর মধ্যে কার্তিকা, নলডক, ঘৃত-কাঞ্চন, পুশা-আরলী, প্রলিফিক ইত্যাদি প্রধান। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বারি শিম-১ এবং বারি শিম-২ , বারি শিম-৩ নামে তিনটি জাত উদ্ভাবন করেছে। এদের ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইপসা শিম-১ এবং ইপসা শিম-২ নামে দুটি জাত উদ্ভাবন করেছে। এ জাত দুটি রবি ও খরিফ উভয় মৌসুমে চাষ করা যায়।
বারি শিম-১
শীতকালীন শিমের মাঝারি আগাম জাত। শিমের বর্ন সবুজ। প্রতিটি শিম ১০-১১ সেমি j¤^v ও ২.০-২.৫ সেমি প্রস্থ। প্রতিটি শিমের ওজন ১০ - ১১ গ্রাম এবং ৪-৫ টি বীজ থাকে। প্রতি গাছে ৪৫০ - ৫০০টি শিম ধরে। শিম পাকার পূর্ব পর্যন্ত নরম থাকে। খেতে নরম ও my¯^v`y| ভাইরাস রোগ প্রতিরোধী জাত। জীবনকাল ২০০ - ২২০ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন ২০ - ২২ টন।
বারি শিম-২
শীতকালীন শিমের জাত। শিম সরু ও j¤^v‡U, বর্ন সবুজ। প্রতিটি শিম ১০-১৩ সেমি j¤^v ও ১.৫-২.০ সেমি প্রস্থ। প্রতিটি শিমের ওজন ৭ -৮ গ্রাম এবং ৪-৫ টি বীজ থাকে। প্রতি গাছে ৩৮০ - ৪০০টি শিম ধরে। শিম পাকার পূর্ব পর্যন্ত নরম থাকে। খেতে নরম ও my¯^v`y| গাছ হতে ১৪-১৫ বার ফল সংগ্রহ করা যায়।জীবনকাল ১৯০ - ২১০ দিন। ভাইরাস রোগ প্রতিরোধী জাত। হেক্টর প্রতি ফলন ১০ -১২ টন।
বারি শিম-৩ (গ্রীষ্মকালীন)
বছরের যে কোন সময় চাষ করা যায়। তাপ অসংবেদনশীল ও দিবস নিরেপক্ষ জাত। ফুলের বর্ন সাদা , ফলের বর্ন সবুজ। প্রতিটি শিমের ওজন ৬ -৭ গ্রাম এবং ৪-৫ টি বীজ থাকে। প্রতি গাছে ৪৫০ - ৫০০টি শিম ধরে। শিম পাকার পূর্ব পর্যন্ত নরম থাকে। খেতে নরম ও my¯^v`y| গাছ হতে ১২ - ১৪ বার ফল সংগ্রহ করা যায়। জীবনকাল ১৫০ - ১৮০ দিন। ভাইরাস রোগ প্রতিরোধী জাত। হেক্টর প্রতি ফলন গ্রীষ্মকালে ৯-১০
জলবায়ু ও মাটি
শিম অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় ভালো জন্মে। আমাদের দেশে রবি মৌসুমেই এর ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। বর্তমানে খরিপ-২ মৌসুমে চাষযোগ্য দু’একটি জাতের সন্ধান মিলেছে। সুনিষ্কাশিত হলে যে কোন ধরনের মাটিতেই শিমের চাষ করা যায় তবে দো-আঁশ মাটিতেই এর উৎপাদন সবচেয়ে ভালো হয় ।
জমি তৈরি ও বপন পদ্ধতি
মাঠে চাষের জন্য প্রথমে জমি চাষ ও মই দিয়ে ভালবাবে তৈরী করেনিতে হবে। । সেচ ও নিষ্কাশনের সুবিধার্থে পুরো জমিতে ১৫-২৫ সেমি উচু ও ২.৫ মিটার চওড়া বেড তৈরি করতে হবে। দুই বেডের মাঝে পানি নিষ্কাশনের জন্য ১৫-২৫সেমি গভীর ৫০সেমি চওড়া নালা রাখতে হবে। বেডের দুই কিনারা হতে ৫০সেমি বাদ দিয়ে j¤^vjw¤^ দুইটি লাইন বরাবর ১.৫০ মিটার দুরে দুরে মাদা তৈরী করতে হবে। এতে বেডে লাইন হতে লাইনের দুরত্ব হবে ১.৫০ মিটার এবং মাদা হতে মাদার দুরত্ব হবে ১.৫০ মিটার। মাদার আকার হবে ৩০সেমি x ৩০সেমি x ৩০সেমি। বসত বাড়ির বাগানে ৯০ সেমি চওড়া ও ২৫ সেমি গভীর করে মাদা তৈরি করতে হয়। মাদা তৈরীর পর অনুমোদিত মাত্রার সার প্রয়োগে করে নির্দিষ্ট সময় পর বীজ বা চারা রোপণ করতে হবে। মাদা প্রতি ৪-৫টি বীজ বুনতে হবে। পলিব্যাগে উৎপাদিত চারা রোপন করলে ১০-১৫ দিন বয়সী ২-৩ পাতা বিশিষ্ট চারা রোপণ করতে হবে। বীজ বপণের পর চারা গজালে মাদা প্রতি ১-২টি সবল চারা রেখে বাকি চারা তুলে ফেলতে হবে।
সার প্রয়োগ
হেক্টরপ্রতি শিমের জমিতে নিম্ন বর্ণিত হারে সার প্রয়োগ করতে হয়।
সার |
পরিমান |
জমি তৈরির সময় মাদায় দেয়
|
|
উত্তর সমূহ